গ্রীষ্মকাল মানেই সমগ্র ভারত জুড়েই ফলের রাজা আমের রাজত্ব। আর জৈষ্ঠ্য মাস আসতে না আসতেই বাজার ছেয়ে যায় পাকা আমে। তবে যেমন তেমন আমে কি আর মন ভরে? তাই বাঙালি বরাবরই স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় গাছপাকা আমের খোঁজ করে থাকে। কিন্তু বাজারে আম কিনতে গিয়ে রকমারি আমের মধ্যে কোনটি গাছপাকা আর কোনটি কার্বাইড দিয়ে কৃত্রিমভাবে পাকানো তা বুঝবেন কি করে? চিন্তার কোনো কারণ নেই। এই প্রশ্নের উত্তর হয়েছে আজকের এই প্রতিবেদনে।
গ্রীষ্মকাল মানেই ফলের রাজত্ব। আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, তরমুজ থেকে শুরু করে সমগ্র বাজারজুড়ে নানা স্বাদের, নানার রঙের ফল নিয়ে বসেন দোকানিরা। তবে সবসময়েই যে এই ফলগুলি গাছপাকা হয়ে থাকে তা কিন্তু নয়, অনেক ক্ষেত্রেই অধিক লাভের আশায় কার্বাইডের মাধ্যমে নানা ধরনের ফল রাতারাতি পাকিয়ে ফেলা হয়। আর তাই ফল কিনতে গেলে অবশ্যই একটু সাবধানী হওয়া প্রয়োজন।
রাসায়নিক দিয়ে পাকানো আম শুধুমাত্র স্বাদের দিক থেকেই যে পাকা আমের থেকে পিছিয়ে রয়েছে তাই নয়, এই আম নানাভাবে আমাদের ক্ষতিসাধন করে থাকে। সাধারণত রাসায়নিক দিয়ে পাকানো আম খেলে নানারকম শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েই যায়। এই সমস্ত আম খেলে মস্তিষ্কের ক্ষতি থেকে শুরু করে ত্বকের ক্যান্সার এমনকি জরায়ুর ক্যান্সার পর্যন্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এবার আসা যাক মূল কথায়, কার্বাইডে আম পাকানো হয়েছে কিনা তা বোঝার জন্য প্রথমেই আপনাকে আমের গন্ধ বিচার করে দেখতে হবে। সাধারণত কার্বাইডে পাকানো আমের গন্ধ গাছপাকা আমের তুলনায় কড়া হয়ে থাকে। এছাড়াও কার্বাইডের পাকানো আমের ক্ষেত্রে খোসার কিছু জায়গায় সবুজ এবং কিছু জায়গায় হলুদ ছোপ থাকে, কিন্তু গাছপাকা আমের ক্ষেত্রে এমনটা হয়না। গাছপাকা আমের খোসার রং সবজায়গায় সমান।
এর পাশাপাশি আরও জানিয়ে রাখি যে, উজ্জ্বল রঙের আম মানেই যে সেটি গাছপাকা তা কিন্তু নয়, সাধারণত কার্বাইডে পাকানো আমই অত্যন্ত উজ্জ্বল রঙের হয়ে থাকে। ফলত আম কেনার সময়ে রং দেখে নেওয়াটাও অত্যন্ত জরুরী। এবার থেকে আম কিনতে বাজারে গেলে অবশ্যই পূর্বোক্ত বিষয়গুলি মাথায় রেখে যাচাই করে আম কিনবেন।