আপনার ফোনে আসা মেসেজটি স্ক্যাম ম্যাসেজ নয়তো? জেনে নিন স্ক্যাম মেসেজ চেনার পদ্ধতি।

টেকনোলজির উন্নতির সাথে সাথে একদিকে যেমন গুগল পে, ফোন পে -এর মতো অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন ট্রানজেকশনের পরিমাণ ক্রমাগত হারে বাড়ছে, অন্যদিকে ঠিক তেমনভাবেই নানা ধরনের স্ক্যাম -এর পরিমাণও অত্যধিক হারে বাড়ছে। এই প্রতারণাকারীরা প্রতিনিয়ত মানুষকে নিঃস্ব করার নিত্যনতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করে থাকেন। বহুক্ষেত্রে দেখা যায় ফোন কলের মাধ্যমে মানুষকে ভয় দেখিয়ে তাদের অ্যাকাউন্টে থাকা সমস্ত টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়।

আবার অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় সাধারণ নাগরিকদের নানা রকম প্রলোভন দেওয়া মেসেজ পাঠানো হয়ে থাকে, আর সেই মেসেজে থাকা লিংকে ক্লিক করলে কয়েক মিনিটের মধ্যে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা অর্থ উধাও হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায় মোবাইল ফোনে আসা মেসেজে পড়ার জন্য তাতে ক্লিক করলেই প্রতারণাকারীরা সাধারণ মানুষের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের অ্যাক্সেস পেয়ে যাচ্ছে আর তারপরই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে মানুষের সমগ্র কষ্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

তবে এক্ষেত্রে যে প্রশ্নটা রয়েই যায়, তা হল, কোনটা এরকম প্রতারণামূলক মেসেজ এবং কোনটি কাজের মেসেজ তা কি করে বোঝা সম্ভব? আর আজকের এই আর্টিকেলে আমরা এমন একটি সহজ পদ্ধতি নিয়ে হাজির হয়েছি, যার মাধ্যমে আপনারা অত্যন্ত সহজেই বুঝে নিতে পারবেন কোনটি প্রতারণামূলক মেসেজ এবং কোনটি আপনার প্রয়োজনীয় এসএমএস।

আরও খবর পড়ুন:- অনলাইন শপিং এ বিশেষ ছাড় পেতে আজই আবেদন করুন Flipkart axis Bank Credit Card এ। জেনে নিন আবেদন পদ্ধতি।

আপনার ফোনে যদি কোনো মেসেজ এসে থাকে এবং সেই মেসেজে প্রেরকের নামের শেষে যদি G লেখা থাকে তবে সেটি গর্ভমেন্টের তরফে পাঠানো কোনো মেসেজ। অন্যদিকে আপনার ফোনে আসা এসএমএসটির প্রেরকের নামের একদম শেষে যদি S লেখা থাকে তবে সেটি যেকোনো রকমের সার্ভিস বা সেবা সংক্রান্ত মেসেজ। এক্ষেত্রে আরো জানিয়ে রাখি যে, আপনার ফোনে আসা যেকোনো মেসেজের প্রেরকের নামের শেষে যদি T লেখা থাকে, তবে সেটি ব্যাংকিং ট্রানজাকশন অর্থাৎ টাকা ট্রান্সফার, উইথড্রয়াল কিংবা ডিপোজিট সংক্রান্ত কোনো এসএমএস। এছাড়াও কোনো এসএমএস -এর প্রেরকের নামের শেষে যদি P লেখা থাকে তবে সেটি যেকোন অ্যাপ কিংবা ওয়েবসাইট সহ অন্য যেকোনো বিষয়ের প্রমোশনাল মেসেজ।

ফলত আপনার ফোনে আসা কোনো মেসেজের নামের শেষে যদি উপরোক্ত লেটার উল্লেখ না করা থাকে তবে সেটি স্ক্যাম মেসেজ হতে পারে, এই সমস্ত মেসেজ ওপেন করা এবং পড়া ভীষণভাবে ঝুঁকিপূর্ণ, এক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্ক থাকুন। এছাড়াও এই সমস্ত মেসেজে থাকা কোনো লিংক সম্পর্কে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত না হয়ে সেই লিংকে ক্লিক করবেন না, এটি আপনার আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। এ প্রসঙ্গে আরো জানিয়ে রাখি যে, প্রতারণাকারীদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্যই ভারত সরকারের তরফে মেসেজের প্রেরকের নামের শেষে এই বিশেষ ধরনের লেটার উল্লেখ করার প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে।

মূলত যেসমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রগুলি টেলিকম রেগুলেটারি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া অর্থাৎ TRAI -এর আওতাভুক্ত রয়েছে তাদের পাঠানো মেসেজের ক্ষেত্রে এই সমস্ত বিশেষ অক্ষরগুলি উল্লেখ করা থাকে, কোনোরকম প্রতারণামূলক মেসেজে এটি করা সম্ভব নয়। সুতরাং, এখন আপনার ফোনে আসার যেকোনোরকম টেক্সট মেসেজ দেখলেই আপনি বুঝে নিতে পারবেন সেটি কোন ধরনের মেসেজ।

Leave a Comment