বর্তমান সময়ে প্রায়সই শোনা যায় বিভিন্ন ব্যক্তির মুখে, দীর্ঘদিন কাজ করার পর বা নিজের কাজের তুলনায় অতিরিক্ত কাজ করার পরও তার প্রাপ্য টাকা তাকে দেওয়া হয়নি। উপরন্তু সেই প্রাপ্য টাকা সে দাবি করতে গেলে তাকে বিভিন্ন রকম ধমকির মুখে পড়তে হয়। কিন্তু এই সময় আমাদের আইন ব্যবস্থা এতটা উন্নত যে আপনি যদি এই রকম সমস্যার মধ্যে আটকে থাকেন তবে খুব সহজে এই সমস্যা থেকে বের হতে পারবেন।
এই সমস্যা সমাধানের বিভিন্ন রকম পদ্ধতি রয়েছে, আজ আমরা মূলত তিনটি পদ্ধতির কথা আলোচনা করবো,
প্রথমত:- আপনি যদি আপনার নাম উল্লেখ করতে না চান তবে এই প্রথম পদ্ধতিটি অবলম্বন করতে পারেন। এই পদ্ধতিতে আপনি আপনার নাম উল্লেখ না করে লেবার কমিশনারকে একটি চিঠি লিখতে পারেন। এই চিঠিতে আপনি আপনার বসের নাম এবং আপনি যে কোম্পানিতে কাজ করেন সেই কোম্পানির নাম উল্লেখ করে আপনার মূল সমস্যার কথা জানান। এবং এই পদ্ধতিতে আপনার চিঠি লেবার কমিশনারের হাতে পৌঁছোতেই তারা অ্যাকশন নেবে এবং আপনি এবং আপনার মতো যাদের টাকা আপনার বস আটকে রেখেছে তাদের টাকা ক্লেয়ার করে দিতে সাহায্য করবে।
দ্বিতীয়ত:- এই পদ্ধতিতে আপনি একটি চিঠি লিখুন আপনার বসকে, চিঠিতে আপনার সমস্যা উল্লেখ করে জানান যে, সমস্যার সমাধান অতিদ্রুত সমাধান না করলে আপনি আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন। সাধারণত কোনো ব্যাক্তিই আইনি ঝামালায় যেতে চায় না এতে তার নিজের এবং কোম্পানির ভ্যালু কমে যাবার সুযোগ থাকে। তাই আশা করা যায় আপনার বস চিঠি পাঠাব পরেই অতিদ্রুত আপনার সমস্যার সমাধান করে দিতে উদ্যোগী হবে।
আরও খবর পড়ুন:- আবেদন করুন জগদীশ বোস স্কলারশিপে এবং পেয়ে যান বার্ষিক সর্বোচ্চ ৪৮ হাজার টাকা।
তৃতীয়ত:- যদি কোনোভাবেই কোনো কাজ না হয় তবে সবার প্রথমে আপনি আপনার বসের বিরুদ্ধে একটি FIR করুন এবং সেই কপি সমেত একটি চিঠি লেবার কমিশনারকে লিখুন। এতে করে যখন আপনার চিঠি লেবার কমিশনারের হাতে পৌঁছোবে এবং সেখানে FIR কপি তারা পর্যবেক্ষন করবে তখন তারা অতিদ্রুত আপনার বসের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে। এবং এরপরও যদি আপনার সমস্যার সমাধান হতে দেরী হয় তবে একজন উকিলের সাহায্য নিয়ে লেবার কোর্টে আপনার বক্তব্য আবেদনের মাধ্যমে জমা করুন।
তবে আপনি সবার প্রথমে প্রথম দুটো পদ্ধতি অবলম্বন করে দেখুন, কারণ আইনি জটিলতার জড়ানোর আগে যদি সহজ ভাবে কাজ হয়ে যায় তবে সেটাই করনীয়। তাছাড়াও কাউকে খাটিয়ে নিয়ে সেই কাজের পারিশ্রমিক না দেওয়া লেবার লয়ের আইন অনুযায়ী এটি বড়ো অপরাধের মধ্যে পরে। নিম্ন লিখিত পদক্ষেপ গুলো সঠিক ভাবে করতে পারলে আশা করি আপনার সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে।