বর্তমান সময় যে কাউকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় যে ব্যবসা করবে না চাকরি? সে না ভেবেই উত্তর দেয় সে চাকরি করবে। কিন্তু চাকরি ও ব্যবসার কিছু নিজস্ব বেনিফিট রয়েছে, যা আজ আমরা খোঁজার চেষ্টা করবো। এই সময় ভারত এবং পশ্চিমবঙ্গের বেকারত্বের হার তুঙ্গে। এবং সমস্ত বেকার মানুষেরা পড়াশোনা শেষ করার পর চাকরির জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছে, খুব কম সংখ্যক এমন মানুষ দেখা যাবে যারা ব্যবসাকে প্রাধ্যান্য দেয়।
চাকরি কেন? এই সময় প্রায় ৯০% যুবক-যুবতী একটি ভালো চাকরির আশায় ছুটে চলেছে। তারা রীতিমতো পড়াশোনা করে একটার পর একটা চাকরির পরীক্ষা দিতে বসছে। চাকরিকে বর্তমান যুবসমাজ বেশি প্রাধান্য দেওয়ার মূল কারণ একবার চাকরি পেয়ে গেলে সে সারাজীবনের আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্ত হয়ে যায়। উপরন্তু চাকরিতে রিক্স থাকে না লস হবার। এই একটি কারনে যুবসমাজ চাকরিকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
ব্যবসা নয় কেন? ব্যবসার কথা প্রথম উঠতেই সাধারন মানুষের মাথায় যে প্রশ্নটি প্রথম উদয় হয় তা হলো বড়ো ইনভেস্টমেন্ট এবং দ্বিতীয়তে যে ভয়টি থাকে তা হলো রিক্স। এই দুটোর কোনোটিকেই একদম ফেলে দেওয়া যায় না। ব্যবসা করতে গেলে বর্তমানে যেমন বড়ো পুঁজি লাগে ঠিক তেমনই ব্যবসার সাথে থাকে বড়ো আর্থিক ঝুঁকি। যা সাধারণ মানুষ এড়িয়ে যেতে পছন্দ করে। তাছারা বহু মানুষের ব্যবসা করার মতো পুঁজিও থাকে না।
আরও খবর পড়ুন:- NSP স্কলারশিপ কি? কিভাবে এই স্কলারশিপে আবেদন করবেন? জেনে নিন বিস্তারিত পদ্ধতি।
চাকরির ভালো ও খারাপ দিক:- প্রত্যেকটা জিনিসেরই যেমন ভালো দিক থাকে ঠিক তেমনই থাকে খারাপ দিক। কোনো একজন ব্যাক্তি যদি চাকরি পায় তবে সে যেরকম আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বি হতে পারে ঠিক, তেমনই টাকা পয়সা নিয়ে তার একপ্রকার চিন্তা থাকে না। কিন্তু চাকরি করতে গিয়ে সাধারন মানুষ EMI ট্র্যাপে ফেঁসে যায় এবং একটি EMI শোধ না করেই সে দ্বিতীয় আরেকটি জিনিস EMI তে নিয়ে নেয় যার ফলে তার টাকা তো আসছে কিন্তু তার কোথাও গিয়ে স্বাধীনতা একটা জাগায় সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং সে চাইলেও তার নিজের ইচ্ছা মতো চাকরি ছেড়ে দিতে পারে না।
ব্যবসার ভালো ও খারাপ দিক:- চাকরির মতনি ব্যবসারও ভালো ও খারাপ দিক রয়েছে। খারাপ দিক আলোচনা করতে হলে বলা চলে ব্যবসায় রিক্স রয়েছে। ব্যবসা শুরু করতে হলে লাগে ভালো পরিমান অর্থ। কোনো একজন ব্যাক্তি যদি অর্থ জোগার করে ব্যবসা শুরুও করে তারপর তার সামনে চলে আসে নতুন সমস্যা কম্পিটিশন। ব্যবসার ভালো দিক নেহাত কম নেই, একবার ব্যবসা ঠিকমতো দাঁড়িয়ে গেলে সেই ব্যবসা মানুষকে চাকরির অপেক্ষা বহুগুনে প্রফিট এনে দেয় এবং খুব ভালো করে রিসার্চ করে ব্যবসা শুরু করলে ব্যবসায় লাভের হার বাড়ে। এছাড়াও ব্যবসা মানুষের স্বাধীনতাকে একটি সীমানায় বাঁধে না। মানুষ যখন ইচ্ছা তখন তার ব্যবসা বন্ধ করে অন্য কিছু করতে পারে।
উপরের আলোচনার ওপর ভিত্তি করে বলা চলে যে ব্যবসা ও চাকরির নিজস্ব নিজস্ব কিছু ভালো ও খারাপ দিক রয়েছে তবে আজকের প্রজন্ম ব্যবসার চাইতে চাকরিকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে।